• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

The Mystery Of The Palace

নিবন্ধ

Mysterious Palace : রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)-অন্তিম পর্ব

গল্পের মাঝে এসে হাজির চা আর পকোড়া। কারোর সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই,সবাই বিভোর হয়ে রয়েছে গল্পে।মামা থেমে বললেন নে সবাই চা টা খেয়ে নে তারপর আবার শুনবি।সবাই একসাথে বলে উঠলো চা খেতে খেতেই শুনি।তুমিও চা খেতে খেতে বলে যাও।বেশ বাবা বেশ তাই হবে, বলে মামা হাসলেন।আবার শুরু করলেন---এরপর কেটে গেছে অনেক গুলো বছর, হয়েছে অনেক পরিবর্তন।জমিদার বাবু নেই,বড়ো ছেলেও নেই সব কিছু তখন আমার দাদুর ঘাড়ে। আর শক্ত হাতে হাল ধরে রয়েছেন গিন্নি মা।একদিন হটাত ধূমকেতুর মতো একমুখ দাড়ি গোঁফ নিয়ে হাজির ছোট চন্দ্র আর ঘটনা চক্রে সেদিন গ্রামের প্রায় শেষ সীমানায় একটা মরা পুকুর থেকে পাওয়া যায় একটা কঙ্কাল। পুকুরটা এখন মজে গেছে ঠিকই কিন্তু একসময় এর গভীরতা ছিলো অনেক। গ্রামের যারা এখন মধ্যবয়স্ক তারা চাপা গুঞ্জন তুলল যে ওটা সেই ভবানী ঠাকুরের মেয়ের, যে হটাত করেই হারিয়ে গেছিল।এ খবর জমিদার বাড়িতেও পৌঁছালো, কিন্তু সেখানে তখন ছোটোবাবুর আসার আনন্দ।তবু গিন্নিমা বলে উঠলেন মহাদেবের মনে কি আছে তিনিই জানেন আজই আমার চন্দ্রও ফিরে এলো।চন্দ্র এসে কিন্তু চুপচাপই রয়েছে।মায়ের সঙ্গে টুকটাক কথা বলছে। এর মাঝে যখন গ্রামের পুকুরের খবরটা এলো সে হটাত অস্থির হয়ে উঠলেন। তারপর নিজের ঘরে গিয়ে সেই যে দরজা দিলেন আর খুললেন না।হরিয়া তো ছোটো বাবু কে দেখে খুব খুশী হয়ে তাকে বললো দেখো ছোটবাবু হামি সব ঠিক রেখেছি।তুমার উয়ো ছবি সব একদম ঠিক আছে।হরিয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে ঘরে ঢুকে গেছিলেন তিনি।রাতে কিছু খায়নি সে।দরজাও খোলেনি।সকালবেলা অনেকবেলা পর্যন্ত দরজা না খোলায় আর ভিতর থেকে কোনো আওয়াজ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখা গেলো শ্যামার ছবি বুকে নিয়ে চন্দ্রশেখরের নিথর দেহ শুয়ে আছে।গিন্নিমা শুধু বললেন ও শান্তি পেল, ভবানী ঠাকুরের অভিশাপ ফলতে লেগেছে।এরপর সত্যি কোনো ছেলে তিরিশ পেরোয়নি।শুধু আমি টিকে আছি। যখন আমার চাঁদ এলো তখন আমি বুঝলাম এবার হয়তো আমাদের অপেক্ষার অবসান হবে।কিন্তু সেটা যে উজানের বন্ধু হয়ে আমার বাড়িতে আসবে ভাবিনি।ভাবনা একটা হতো যে কিভাবে সে আসবে।চাঁদ ও ছোটো থেকে মানে তরুন বয়স থেকে স্বপ্নে ওর মুখ আবছা দেখতে থাকে।এবার মা রাশি আমাকে বলতো তোর এখানে এসে কি মনে হয়েছে?রায়া বলে ওঠে ও তো এসে থেকেই বলে যাচ্ছে আমি আগে এসেছি, এখানে এটা আছে, ওখানে ওটা ছিলো।মামা বললেন যেমনবাগানে ঘুরতে ঘুরতে পিছন দিকে এক জায়গায় বলল এখানে একটা আম গাছ ছিলো ।তারপর ছাদের ঘরে যাওয়া তো আমরা সবাই দেখলাম ।এরপর আর কোনো সন্দেহ থাকার জায়গাই নেই যে ও শ্যামা।রাশি আর চাঁদ এবার দুজনেই একে একে বলল যে আমরা তো দুজনে দুজনকে দেখেই চিনেছি এ স্বপ্ন তে দেখা সেই মুখ যা আমাদের জীবনকে রহস্যে মুড়ে রেখেছিল।এবার মামা বললেন একবার রাশির মা বাবার সঙে কথা বলতে হবে, আমাকে ওনাদের ফোন নম্বর টা দে।আচ্ছা রাশি তোকে ছাদে কে নিয়ে গেছিল?একজন বয়স্ক লোক ।হ্যাঁ মনে পড়ছে না ঠিক----- হ্যাঁ হ্যাঁ হরিয়া।হ্যাঁ হরিয়া ছাড়া আর কে হবে? ওই নাকি দীর্ঘদিন ঐ ঘর দেখে শুনে রাখত আর ঐ ঘরের সামনেই নাকি মরে পড়েছিল ।যাক মহাদেবের অসীম কৃপায় আজ আবার যে দুজন কে পেয়েছি, এবার আর কোনো ভুল করতে চাই না। আমি আজই রাশির বাবা মা কে ফোন করবো। সেরকম হলে ওনাদের এখানে আসতে বলবো।সবাই কিন্তু চুপচাপ হয়ে গেছে সেই সময়ের এই বেদনা বিধুর প্রেমের কাহিনী শুনে।রাশির চোখে জল, চাঁদ কখন যেন রাশির পাশে এসে বসেছে।যেন দুজনে ফিরে যেতে চাইছে সেই সুদূরে যেখানে ওদের প্রেম প্রকাশ পাওয়ার আগেই মুছে গেছিল।সমাপ্তলেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- দ্বিতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- তৃতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- চতুর্থ পর্বরাখি রায়-র কলমেআরও পড়ুনঃ বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রূপু আমাকে ক্ষমা করিসআরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাত

অক্টোবর ১০, ২০২১
নিবন্ধ

Mysterious Palace : রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- চতুর্থ পর্ব

মামা গল্প বলতে বলতে থেমে গিয়ে বললেন এই দাঁড়া দাঁড়া আমার তো ভুল হযে যাচ্ছে। ঘটনাটা আমরা দাদুর দাদুর আমলের।আমার দাদুর বাবারা ছিলেন তিন ভাই।বয়স হচ্ছে রে, তাই সব গুলিয়ে ফেলছি।সে যার আমলেই হোক তোমার দাদুর বাবার বা দাদুর দাদুর তুমি বলে যাও।মামা আবার শুরু করলেন....বেশ কয়েক বছর কেটে গেলো । এর মধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে; বড়ো ছেলের ছেলে মানে আমার দাদুর বাবার আগমন ঘটেছে, মেজো ছেলে বাঙলা দেশের তালুকের দায়িত্ব নিয়ে সেখানে বৌ নিয়ে আছে। আর ছোটো পড়াশুনার পাট চুকিয়ে গ্রামে ফিরে মন দিয়েছে আঁকায়। কলকাতায় সে আঁকার ট্রেনিং নিয়ে এসেছে যে ।আর এখানকার জমিদারির দায়িত্ব দেখাশোনা করতে লেগেছে বড় ছেলে।এমন সময় গিন্নিমার কানে গেলো একটা কথা। আসলে ঠিক কানে গেল বল চলে না। ওনাদের ভবানী ঠাকুর নিজে কদিন পুজো করতে না এসে অন্য একজনকে পাঠিয়ে ছিলেন।তাই তার খবর নিতে পাঠান গিন্নিমা । যদিও তার কানে একটা কথা এসেছে। তাই আরো উতলা হয়ে তিনি তার বিশেষ কাজের লোক শঙ্করী কে পাঠান খবর নিতে।সে এসে বলে যা শুনেছেন সব সত্যি। শ্যামা ফিরে এসেছে বাপের বাড়ি। তার ঠাঁই হয়নি সেখানে, তার স্বামী মারা গেছে আর সন্তান ও নেই।তাই তাকে আর কেউ রাখতে চায়নি শ্বশুর বাড়িতে।একথা শুনে গিন্নিমার মনটা খুব খারাপ হলো। তিনি বললেন ভবানী ঠাকুরকে খবর দাও।ভবানী ঠাকুর গিন্নিমার ডাকে তার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। খুব কান্নাকাটি করতে লাগলেন।একে তো মা-মরা মেয়ে তায় আবার এই অবস্থা,কি যে করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না।গিন্নিমা বললেন -- কোনো চিন্তা করবেন না আমি তো আছি। আপনি শ্যামা মা কে আমার কাছে নিয়ে আসুন।গিন্নিমার এইকথা শুনে ভবানী ঠাকুর অনেকটা যেন হাল্কা হলেন।তিনি বললেন তাই হবে গিন্নিমা । আমি কালই ওকে আপনার কাছে নিয়ে আসবো। আপনি ওকে একটু আপনার পায়ে ঠাঁই দিলে আমি বেঁচে যাই গিন্নিমা।এই বলে ভবানী ঠাকুর চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেলেন।পরদিন মেয়েকে সঙ্গে করে এলেন জমিদার বাড়ি। গিন্নিমা শ্যামাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।বড়মার কথা তোর মনে পড়েনি? আমি কি তোর মা নই? এরকম অনেক মান অভিমানের কথা চলল।এর মধ্যে বড়ো বৌ ও এসে দাঁড়িয়েছে ঘরে, সেও শ্যামাকে খুব ভালোবাসত।তার ছেলেকে কোলে তুলে নিল শ্যামা । গিন্নিমা বললেন আজ থেকে ওর সব দেখাশোনার দায়িত্ব তোর । তুই তো ওর পিসিমা। এই বলে শ্যামার হাতে নিজের নাতি মানে আমার দাদুর দায়িত্ব তুলে দিলেন।আর অন্যদিকে ছোটো চন্দ্র বিয়ে থা না করে সারাদিন কলকাতা থেকে নিয়ে আসা এক বিহারি চাকর কে সঙ্গে নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আঁকার সরঞ্জাম নিয়ে।তার কানেও শ্যামার কথাটা গেছে, কিন্তু সে কিছু বলেনি।এইভাবেই দিন যেতে থাকে.....বড়ো বৌদির ছেলেকে নিয়ে বেশ কাটে শ্যামার সারাদিন ।তর মাঝে বড়মাকেও সাহায্য করে।বড়ো বৌদির সঙ্গে টুকটাক গল্প করে দিন কেটে যায় । শ্যমাকে বাড়ির কাজের লোকেরাও ওর মিষ্টি স্বভাবের জন্য খুব ভালোবাসে।এর মধ্যে চন্দ্র এর সঙ্গে দেখা হয়েছে। কেমন আছো ছোটদা? জিজ্ঞাসা করে শ্যামা ।ভালই আছি রে। তোর কি চেহারা হয়েছে রে শ্যামা?আমার আবার চেহারা; তুমি এবার একটা বিয়ে থা করো ।তুইও এসেই শুরু করে দিলি? মা বলেছে নিশ্চয়?শ্যামা চুপ করে রইল।এভাবে টুকটাক কথা হয় শ্যামা আর চন্দ্রের মধ্যে। আগের থেকে শ্যামা অনেক চুপচাপ হয়ে গেছে।একদিন চন্দ্রের বিহারী কাজের লোক হরিয়ার খুব জ্বর হয় সেদিন বড়মা শ্যামার উপর দায়িত্ব দেন ছোটদার ঘর পরিষ্কার করে দেওয়ার এবং খাওয়ার নিয়ে দিয়ে আসার। সেদিন শ্যামাকে একটা ছবি দেখায় চন্দ্র, সেটা শ্যামার বিয়ের পর এঁকেছিল সে।তোর বিয়ের পর তো আমার সঙ্গে আর তোর দেখা হয়নি তাই তোকে দেখাতেও পারিনি।খুব সুন্দর হয়েছে গো ছোটদা । তবে এখন তুমি আরো অনেক ভালো আঁকো ।চন্দ্রের ঘরে কেউ ঢোকে ও পছন্দ করতো না। কিন্তু শ্যামাকে কিছু বলেনি।শ্যামা দেখে শোওয়ার ঘরের পাশে একটা বড়ো ঘরে ছবি আঁকত চন্দ্র।শ্যামা দেখেছে যে সেখানে কিছু ছবি ঢাকা দেওয়া আছে।কৌতূহলী হয়েছে ঠিক কিন্তু কোনোদিন হাত দেয়নি। আর চন্দ্র এখন খুব চুপচাপ নিজের মনে থাকে ওকেও জিজ্ঞাসা করার সাহস হয়নি।যে ছবি গুলো দেওয়ালে টাঙানো আছে সেগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখে যখন ঐ ঘরে যায়। যদিও খুব একটা যায়না বড়মা না পাঠালে।এদিকে হরিয়ার মাঝে মাঝেই শরীর ভালো যাচ্ছে না তাই শ্যামার উপর সেইদিন গুলোতে দায়িত্ব পরে শ্যামার উপর।এরকমই একদিন সন্ধ্যাবেলায় ছোটদার ঘরে আলো দিয়ে আসার সময় চন্দ্র বলে একটু কিছু খাবার নিয়ে আয় তো রে ক্ষিদে পেয়েছে।এটা আবার ওর স্বভাব মাঝেমাঝেই ক্ষিদে পায়।বেশ এনে দিচ্ছি বলে চলে যায় শ্যামা।একটু পরে বাটি করে নারকেল আর মুড়ি নিয়ে এসে দেখে ঘরে কেউ নেই।ছোটদা বলে ডাকতেই আঁকার ঘর থেকে আওয়াজ আসে এঘরে দিয়ে যা ।ওঘরে যেতেই দমকা হাওয়ার জোরে ঢাকা দেওয়া ছবি গুলো থেকে ঢাকা সরে যায় আর শ্যামা চমকে যায় এ যে তার ছবি।চন্দ্রও অপ্রস্তুত হয়ে যায়, আবার নিজেকে সামলে নিয়ে তাড়াতাড়ি ঢাকা দিতে যায় ।কি করেছো এগুলো? কেনো করেছো? কেউ এগুলো দেখলে কি ভাববে জানো?চন্দ্র চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ তারপর বলে কেনো তুই কি কিছুই বুঝিসনা?আমার বোঝার দরকার নেই। লোকে তোমাকে কিছুই বলবে না, যতো দোষ হবে আমার।তোকে এভাবে দেখ্তে আমার একদম ভালো লাগেনা যে, তাই তো আমার স্বপ্ন দিয়ে তোকে এঁকেছি।শ্যামা কাঁদতে থাকে, কেনো কেনো করলে এমন?শ্যামাকে কাঁদতে দেখে চন্দ্র আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না শ্যামাকে জড়িয়ে ধরে, আর ঠিক সেইসময় একজন কাজের মেয়ে শ্যামা কে ডাকতে আসে আর ওদের দেখে ছুটে নেমে যায় ।এইপর্যন্ত বলে মামা একটু থামলেন।বলো বলো তাড়াতাড়ি বলো, চাঁদ বলেতারপরের ঘটনা খুব ছোটো করে বলি, একথা শেষে ওঠে গিন্নিমার কানে,গিন্নিমা বিশ্বাস করেন না। কিন্তু জমিদার মশায়ের কানেও উঠে যায় ।ব্যাস আর যায় কোথায় ।শুরু হয়ে যায় জমিদারি খেলা। ভবানী ঠাকুরকে পাঠানো হলো শহরে কিছু একটা কাজে। তারপর দিন ভবানী ঠাকুর এসে শ্যামার খোঁজ করাতে অবাক হয়ে যান গিন্নিমা ।কি শ্যামা বাড়ি ফেরেনি কাল?না, আমি ভাবলাম আমার আসতে দেরি হবে ভেবে আপনি তাকে রেখে দিয়েছেন আপনার কাছে।গিন্নিমা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। চারদিকে খুঁজতে বলেন, কিন্তু কোথাও পাওয়া যায় না।তখন কিছু লোক হাহুতাশ করে আর কিছু লোক বাজে কথা বলে, যেমন সবসময় হয়।কাঁদতে কাঁদতে চলে যান ভবানী ঠাকুর। আর পুজো করতে আসেন না।সেদিন রাতে জমিদার গিন্নি ধরেন শশীশেখর বাবুকে কি করলে মেয়েটাকে? জমিদার বাবু মেজাজে বলেন আমি কি করে জানব?তুমি কিছু না জেনে কেনো এমন করলে? একথা চন্দ্র জানলে তাকে তুমি বেঁধে রাখতে পারবে তো?এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে দরজায় টোকা পরে। দরজা খুলে তো চমকে যান গিন্নিমা।চন্দ্র তুই! কিছু বলবি বাবা?মায়ের কথায় কোনো উত্তর না দিয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বলল কিছু না বুঝেই এতোবড়ো একটা কাজ করে ফেললেন? আমাকে একবার জিজ্ঞাস করলেন না?চুপ করে রইলেন শশীশেখর বাবু।চলে গেলো চন্দ্র ঘর থেকে।একদিন চন্দ্র আবার কোথাও উধাও হয়ে গেলো,কাউকে কিছু না বলে।হরিয়া কিন্তু রয়ে গেলো ছোটো বাবুর ঘরটা আগলে।গ্রামেও এর মধ্যে প্রচার হয়ে গেলো যে জমিদারবাবুই শ্যামাকে গুম করে দিয়েছেন।একদিন ভবানী ঠাকুর পাগলের মতো এসে কাছরিতে ঢুকে পড়লেন,সেখানে তখন জমিদারবাবু নিজে উপস্থিত।ভবানী ঠাকুর বললেন আমার মেয়েটা কি ক্ষতি করেছিল যে তাকে মেরে দিলেন? আমি অভিশাপ দিচ্ছি তোমাদের বংশে ছেলেরা বেশিদিন বাঁচবে না,যতদিন না আমার মেয়ে ফিরে আসছে। আর এও বলে রাখলাম যদি সত্যি চন্দ্র তাকে ভালোবেসে থাকে সেও ফিরবে।এরপর কেউ আর ঐ গ্রামে ভবানী ঠাকুরকে দেখেনি।তারপর সত্যি এই বংশের ছেলেরা বেশিদিন বাঁচে না। আমিই রয়েছি শুধু ওদের মিলিয়ে দেবার জন্য বোধহয়। কারণ আমার দাদুর মাও যে শ্যামা কে বড্ড ভালবাসতেন। উনি বলেছিলেন যেন আমার বংশেই আবার চন্দ্র ফিরে আসে।তিনি যতদিন জীবিত থেকেছেন ছোটো দেওরের খোঁজ করে গেছেন। কিন্তু যে নিজে হারিয়ে যায় তাকে কি আর খূঁজে পাওয়া যায়?ক্রমশ....লেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- দ্বিতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- তৃতীয় পর্বরাখি রায়-র কলমেআরও পড়ুনঃ বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রূপু আমাকে ক্ষমা করিসআরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাত

অক্টোবর ০৩, ২০২১
নিবন্ধ

Mysterious Palace :রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- তৃতীয় পর্ব

অবশেষে সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চাঁদ অর্থাত চন্দ্রশেখর রায়চৌধুরী উজানের মামাতো দাদা বাড়ি এলো দুপুর তখন প্রায় একটা। কিন্তু তখন আর কে গল্প শুনবে আর কেই বা শোনাবে?সুতরাং দুপুরের খাবার পর সবাই কে বিশ্রাম করে বিকেলে ঠিক পাঁচটার সময় চায়ের টেবিলে হাজির হতে বললেন মামা।সবাই ঘরে গেল ঠিকই কিন্তু কেউ ঘুমোতে পারলো না। রাশি কে দেখে তো মনে হচ্ছে কি যেন খূঁজে বেড়াচ্ছে মনে মনে।পাঁচটা বাজতেই সবাই হাজির চায়ের টেবিলে। চাঁদ বলল কি ব্যাপার বলতো হটাত ডেকে পাঠালে , আবার এইভাবে বিকেলে হাজির হতে বললে? কিছুই তো বুঝতে পারছিনা। মামা বললেন চা খেয়ে নাও তারপর একটা জিনিস দেখাব। যদিও চাঁদ চট বেলায় একবার দেখেছিল।চা খাওয়া হয়ে গেলে মামা ওদের একটা ঘরের সামনে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালেন। চাঁদ বলল এই ঘরে আবার কি দেখাবে? কোনো দিন তো খোলাই হয়না। দরজা খুলে চাঁদের বাবা মানে মামা বাবু ঘরে ঢুকে আলো জ্বেলে সবাই কে ভিতরে ডাকলেন। ঘরটায় পরপর সব পুরুষের এবং মহিলাদের ছবি আছে এই বংশের । সব একে একে মামা দেখাচ্ছেন এবং পরিচয় দিচ্ছেন; আর রাশি পায়ে পায়ে একটা ছবির সামনে এসে দাঁড়িয়ে কি যেন বিড় বিড় করছে সেটা খেয়াল করে চাঁদ । ও অবাক হয়ে সেদিকে যায়, গিয়ে তো আরো অবাক । জোরে বলে ওঠে-- বাবা আমার এই বেশে ছবি এখানে কিভাবে এলো? আমি তো কখন তুলিনি।সবাই সেই দিকে ছুটে গেলো । দেখে তো সবাই অবাক। উপরের ঘরে রাশির মতো দেখতে একটি মেয়ের ছবি, আবার নিচে চাঁদের মতো এ কার ছবি? উজান বলল মামা কি ব্যাপার গো কিছুই তো মাথায় ঢুকছে না। কোনোদিন কোনো গল্পও শুনিনি মায়ের কাছে। কি গল্প আছে আমাদের বলো ।মামা বললেন বেশ বেশ চল এঘর থেকে , বাইরে গিয়ে বসি তারপর সব বলছি। বলতে তো আমাকে হবেই।এই বলে সবাই কে বের করে নিয়ে ঘরে চাবি লাগিয়ে সবাই গিয়ে বৈঠকখানা ঘরে গিয়ে বসল।মামীমাও এসে বসলেন।এরপর মামা শুরু করলেন গল্প......মামা গল্প শুরু করলেন-- কাহিনী তখনকার যখন জমিদার ছিলেন আমার দাদুর বাবা শশীশেখর রায়চৌধুরী ।তার তিন ছেলে বড় ইন্দুশেখর, মেজো বিধুশেখর, আর ছোট চন্দ্রশেখর।এদের মধ্যে বড় আমার দাদু আর মেজো দাদু তখন কলকাতায় পড়াশুনা করছেন । আর বাড়িতে আমার ঠাকুমা আছেনআর ছোটো দাদু। সে দাদাদের থেকে বেশ ছোট ; তখন সে গ্রামের স্কুলেই পড়ছে। এমন সময় আমাদের কুলদেবতা মহাদেবের পুজোয় নিযুক্ত হন আমাদের কুল পুরোহিত বামাচরণ ভট্টাচার্য মশায়ের ছেলে ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচর্য মানে আমাদের ভবানী দাদু।ওনার মেয়ে শ্যামা সুন্দরী ছিলেন প্রায় আমাদের ছোট দাদুর বয়সী,বছর পাঁচের ছোট ।বাবার সঙ্গে মাঝে মাঝে ফুল নিয়ে আসত আমাদের বাড়িতে। মা মরা মেয়ে,আমাদের বড়মা খুব স্নেহ করতেন শ্যমাকে । একে নিজের কোনো মেয়ে নেই তায় আবার শ্যামার মা ছিলো না।সবাই বড়মা কে গিন্নীমা ডাকত। শ্যামাও তাই ডাকত।কিন্তু বড়মা তাকে বলে তুই আমাকে গিন্নিমা বলবি না,বড়মা বলবি,তারপর থেকে শ্যামা বড়মা ডাকতে থাকে। তখনো গ্রামের দিকে মেয়েদের পড়ার সেরকম চল ছিল না। কিন্তু শ্যামা পাঠশালায় যেত।মাঝে মধ্যে আসত জমিদার বাড়িতে।ছোট চাঁদের সঙ্গে তার বেশ বন্ধুত্ব হয়েছে,প্রায় সমবয়সী দুজন।ওদের খেলতে দেখে বড়মা খুব আনন্দ পেতেন।ছোট দাদু খুব আঁকতে ভালোবাসতেন, তাই দাদারাও শহর থেকে আদরের ভাইকে নানান সরঞ্জাম এনে দিত। ছোটদাদার অত জিনিস শ্যামা অবাক চোখে দেখত। এইভাবে দুজনে বেশ থাকতো,কখন ঝগড়া করে বড়মাকে নালিশ জানাতো আবার কখন কচড়ে কাঁচা আম, তেঁতুল,বা বাড়ির তৈরী আচার এনে ছোট দাদাকে খাওয়াতো।দেখ্তে দেখ্তে শ্যামা বারো বছরের হলো যখন আর ঘরে রাখা যাবে না। এবার ওর বিয়ে দিতে হবে। এর মধ্যে আমার বাবার আগমন হয়ে গেছে। বড়ো বৌদিও শ্যামাকে বেশ ভালবাসে কারণ শ্যামা ছাড়া কথা বলার মতো কেই বা আছে ছোট দেওরটি ছাড়া।শ্যামার বিয়ে হয়ে গেলো ।শ্যামার বিয়ে হয়ে যাওয়াতে সব চেয়ে বেশি একা হয়ে গেল চন্দ্র; কারণ সবসময় হুকুম তো শ্যামাই শুনত।অবশ্য বেশিদিন তাকেও একা থাকতে হয়নি,কলকাতায় পড়তে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। ওখানে সে পড়ার সঙ্গে আঁকার চর্চায় মনোনিবেশ করলো। এদিকে কিছুদিনের মধ্যে মেজদাদুরও বিয়ে হয়ে গেলো ।আমার দাদুএখানকার জমিদারি দেখাশোনায় দাদুর সঙে লেগে পড়ল ।আর মেজদাদু তখনো পড়া শেষ হয়নি বলে কলকাতায় থাকতে লাগল ছোট ভাই কে নিয়ে।এইভাবে বেশ কয়েক বছর কেটে গেলো ।শ্যামার কথা প্রায় সবাই ভুলতে বসেছে এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা...ক্রমশ....লেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- দ্বিতীয় পর্বরাখি রায়-র কলমেআরও পড়ুনঃ বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রূপু আমাকে ক্ষমা করিসআরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাত

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
নিবন্ধ

Mysterious Palace :রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- দ্বিতীয় পর্ব

রায়া আর তিয়া দুজনেই রাশি কে দেখে একটু যেন অবাক হলো; ওদের মনে হলো ও যেন এ জগতে নেই।ওকে যেন একটু অন্যরকম লাগল।ওরা ডাকল রাশি এই রাশি কি বলছিস?না ও যেন ওদের ডাক শুনতেই পেল না । তখন রায়া ওকে ধাক্কা দিয়ে ডাকল এই রাশি কি বিড়বিড় করছিস?রায়ার ধাক্কাতে যেন রাশির সম্বিত ফিরল। ও বলল কি হয়েছে? এতক্ষণ যেন কিছুই হয়নি এমন করে কথা বলল রাশি।রায়া,তিয়া অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আর বলল কি হয়েছে মানে! তুই তো বলবি কি হয়েছে? কি বলছিলি তুই এতোক্ষণ?রাশি যেন কিছুই জানে না সেরকম করেই বলল আমি কি বলছিলাম? কই কিছু বলিনি তো।ওর এই ব্যবহারে তো ওরা রীতিমত বিস্মিত।কিন্তু ওরা আর কথা না বাড়িয়ে বলল -- যা তুই এবার চেঞ্জ করে খেতে চল।ওরা তিন জন আর পাশের ঘর থেকে উজান আর অত্রি কে দিশা এসে ডেকে নিয়ে গেলো ।ওরা সবাই মিলে খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পরলো। মামা মামী ও বললেন ওদের শুয়ে পড়তে।ওরা যে যার মতো করে নিজেদের ঘরে চলে গেল।উজান বোন দিশার সঙ্গে একটু কথা বলবে বলে বসে রইল নিচে।বিশাল বাড়ি মামাদের। উজান অনেকদিন পর এলো তাই একটু বোনের কাছে জেনে নিচ্ছে কঁ দিকে কি আছে।ঘন্টা খানেক পর উজানও শুতে চলে গেলো। ঘরে গিয়ে ওরা একটু পরের দিন কি করবে সেটা আলোচনা করে যে জার মতো শুয়ে পড়ল।বেশ অনেকটা রাতে তিয়ার ঘুম ভেঙে গেলো বাইরে যাবে বলে। ও ওয়াশ রুম থেকে ফিরে এসে দেখে রাশি বিছানায় নেই, ঘরেই নেই। ও তখন রায়াকে ডাকল। রায়া একটু বিরক্ত হয়ে উঠলো। রাশি ঘরে নেই শুনে তো ঘুম উড়ে গেলো ওরও।ওরা বেরিয়ে উজানদের ডাকল। উজান, অত্রিও ভয় পেয়ে গেলো এতো রাতে ওদের ডাক শুনে।ওরা বেরিয়ে এসে যখন শুনল রাশি ঘরে নেই তখন তো রীতিমত ভয় পেল ওরাও।কি করবে ঠিক করতে পারলো না। এতো বড়ো বাড়ির কোথায় গেলো ওরা তো কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। রায়া তখন উজান কে বলল রাশি কি বিড়বিড় করে বলছিল সেই কথা গুলো।উজান কিছু ভেবে না পেয়ে মামা কে ডাকল।মামা মামী বেরিয়ে এলো কৌতূহলী হয়ে। যখন শুনল রাশি কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তখন মামী বলে উঠলো-- আমি বললাম না এ সেই, দেখো ঠিক তার জায়গায় তাকে পাওয়া যাবেমামা একটু বিচলিত হয়ে বলল তুমি চুপ করো তো।মামা মামীর কথা ওদের কেউ বুঝতে পারলো না। রায়া তখন বলল রাশির বলা কথাগুলো।রাযার কথা শুনে মামা মামী বললো চলো তো দেখি গিয়ে।মামা আর মামী ছাদের দিকে চললো ওনাদের পিছনে ওরা চার জনও চলল ।মনে ওদের অনেক প্রশ্ন জাগছে। মামা মামীর কথায় কি যেন একটা আছে সেটা বুঝতে পারছে না ওরা।ওরা ছাদে গেলো, এদিক ওদিক খুঁজল বিশাল ছাদের কিন্তু কোথাও রাশি নেই।ওদের খুব ভয় করতে লাগল। তখন মামা বলল ঐ দেখো ঐ ঘরে আলো জ্বলছে, কে জ্বালালো আলো? অবাক এবার মামা মামী। ঘরটাই বা খুলল কে? এই সব প্রশ্ন করতে করতে ঘরে গিয়ে দেখল রাশি ওখানে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। আরো যা দেখল তা হলো কিছু ছবি।রাশিকে ঐভাবে উপরের ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে ওরা সবাই যেমন অবাক হলো, আরো অবাক হলো ঐ ঘরে থাকা কিছু ছবি দেখে। যেগুলো দেখে তো খুবই পুরনো মনে হচ্ছে কিন্তু ছবির মেয়েটির সঙ্গে রাশির হুবহু মিল আছে।সবাই কৌতূহলী হয়ে মামা মামীমার দিকে তাকাল, কিন্তু তখন আগে রাশিকে ঠিক করা দরকার ছিলো তাই আর কথা না বাড়িয়ে অত্রি আর উজান দুজনে ধরে নামিয়ে নিয়ে এলো রাশিকে; তারপর ওদের ঘরে শুইয়ে দিয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে ওর জ্ঞান ফেরাবার চেষ্টা করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে ও সবাই কে একসাথে দেখে প্রথমে একটু অবাক হলো। তারপর আবার চোখ বুজে ফেলল। মামা বললেন --আজ রাতটা ও বিশ্রাম নিক, ওকে তোরা এখন কোনো প্রশ্ন করিসনা। সকালে জা শোনার শুনিস।আর তোদের বলতে ভুলে গেছি কাল সকলে চাঁদ আসছে।এই বলে ওনারা বেরিয়ে গেলেন। ওর কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর যে যার মতো শুয়ে পড়ল ।পরদিন সবার ঘুম ভাঙতে একটু দেরি হলো। রাশি কিন্তু শুয়ে রইল। রায়া তিয়া ওকে জোর করে তুলে নিয়ে গেলো ।ও চুপ করে আছে দেখে মামী জিজ্ঞাসা করলেন --রাশি কাল রাতে তুই ছাদে কি করতে গিয়েছিলি? তুই চিনে গেলি কি করে ছাদে? ঐ ঘরের চাবি কোথায় পেলি?এই প্রশ্ন গুলো শুনে রাশি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল, তারপর বললো কাল শোওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হটাত বেশ খানিকটা রাতে দরজায় আওয়াজ শুনে আমার ঘুম ভেঙে গেলো । আমি ভাবলাম অত্রি বা উজান হবে তাই উঠে দরজা খুলতে গেলাম।খুলে দেখি একজন মহিলা ঘোমটা দেওয়া।আমাকে বলল আমার সঙ্গে এসো।আমি সম্মহিতের মতো ওঁর পিছনে চললাম।ঐ আমাকে ঐ ঘরে নিয়ে গেলো। তারপর আমার কিছু মনে নেই।কিন্তু একটা ব্যাপার কি জানো আমি তোমাদের বাড়িটা যেন চিনি, এখানে যেন কতো এসেছি।আর একটা জিনিস আমি সেই ছোটো থেকে কিছু স্বপ্ন দেখি আবছা আবছা এখানে এসে তোমাদের বাড়ি দেখে এটা বুঝতে পারি আমার সেই স্বপ্ন এখানকার সঙ্গে যুক্ত।পুরোটা ঠিক বুঝতে পারছিনা।তোমরা নিশ্চয় জানো,আমাকে বলবে ।ওর কথা শুনে এবার মামা বললেন তোকে দেখেই আমরা বুঝেছি সব। বলবো আর একটু অপেক্ষা কর , চাঁদ আসুক।ওরও যে জানা দরকার। শুধু তুই নয় রাশি ও যে এর সঙ্গে যুক্ত।এরপর ওরা চা জলখাবার খেয়ে রাজবাড়ির চারদিকটা দেখ্তে বেরোল সবাই মিলে।রাশি যেতে চাইছিল না, কিন্তু ওরা ওকে আর একা রেখে যেতে রাজী হলো না।তাই ও সঙ্গেই গেলো ।রাজবাড়ির বাগানে ঘুরতে ঘুরতে ও হটাত একজায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ল, সবাই ডাকলো কিন্তু মনে হলো ও যেন ওর মধ্যে নেই।ও তখন বলল এখানে তো একটা বড়ো আমগাছ ছিলো ।গাছটা কি হলো? বলেই ও ওখানেই বসে পড়তে যাচ্ছিল রায়া ওর পাশে থাকায় ধরে ফেলল।রাশি যেন আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো । ওরা কিছুতেই বুঝতে পারছে না কি ঘটছে রাশির সঙ্গে। কেনই বা রাশি এরকম ব্যবহার করছে!?মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরছে সবার, কিন্তু মামা বলেছেন সব বলবেন চাঁদ মানে ওনাদের ছেলে আসলে।উজানের দাদাভাই দিল্লিতে ডাক্তারি পড়ছে।ওর এখানে পৌঁছাতে দুপুর হবে।সুতরাং এখন অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই---ক্রমশ....লেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বরাখি রায়-র কলমেআরও পড়ুনঃ বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রূপু আমাকে ক্ষমা করিসআরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাত

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
নিবন্ধ

Mysterious Palace :রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্ব

বীরভূমের এক প্রত্যন্ত গ্রামে উজানের মামার বাড়ি। ওনারা ওখানকার জমিদার ছিলেন। আজও তার প্রতীক হিসাবে বিশাল রাজবাড়ি দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্য বহণ করে। যদিও উজানের বড়ো মামা-মামি ছাড়া কেউই আজ ওখানে থাকেনা। অন্যান্য তিন মামা বিদেশে থাকেন। যদিও পারিবারিক দুর্গা পুজোয় বছরে একবার আসেন। উজানের মা ঐ বাড়ির একমাত্র মেয়ে। তাই উজানের আদরও খুব মামার বাড়িতে।এবার তাই ১২ ক্লাস বোর্ড এক্সামএর পরে উজানের বন্ধুরা যখন বলে সবাই মিলে কোথাও বেড়াতে যাবে আলাদা হয়ে যাওয়ার আগে, তখন উজান ওর মামার বাড়ি যাবার প্রস্তাব দেয়। ওর এই বন্ধুরা অনেকদিন ধরেই ওর মামার বাড়ি দেখ্তে চেয়েছিল।রাশি, হিয়া, দিয়া, অত্রি আর উজান সেই নার্সারি থেকে আজ পর্যন্ত একসঙ্গে পড়ছে। এবার যে যার মতো আলাদা হয়ে যাবে। তাই তার আগে ওরা শুধু নিজেরা কোথাও যেতে চায়। উজানের মামার বাড়ি যাবার কথায় কারো বাড়ি থেকেই কোনো আপত্তি হয়নি।ওরাও খুব excited এই প্রথম শুধুমাত্র বন্ধুরা মিলে কোথাও বেড়াতে যাবে। ওদের মধ্যে হিয়া দিয়া যমজ বোন, হিয়াটা খুব চঞ্চল দিয়া একটু শান্ত; আর রাশি মেয়েটা একটু যেন বেশিই চুপচাপ। যদিও তাতে ওদের বন্ধুত্বের কোনো অসুবিধা নেই। রাশির একটা ব্যাপার ওরা ছোট থেকেই দেখে আসছে যে ও মাঝে মাঝেই কেমন উদাস হয়ে যায়। ছোটোবেলায় তার কারণ অবশ্য একটা বলতো,এখন বড়ো হয়ে গেছে এখন আর কিছু বলেনা কিন্তু সেই উদাস হয়ে যাওয়া আজও আছে। ওরা সবাই সবাইকে খুব ভালো করে জানে। তাই রাশিকে কোনো রকম বিরক্ত করেনা। যাইহোক সবাই খুব খুশি বেড়াতে যাওয়া নিয়ে। সারা দিন ফোনে শুধু প্ল্যান হয়ে যাচ্ছে কি করবে না করবে, কে কি পোশাক নেবে, কতো দিন থাকবে, আশেপাশে কোথায় কি আছে দেখবে এইসব করে যাচ্ছে সারাদিন।এইসব করতে করতে যাবার দিন চলে এলো। সবাই মিলে বিশ্বভারতী এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরায় উঠে বসল। সবাই খুব হৈচৈ করে আনন্দ করতে লাগল যেন মুক্ত বিহঙ্গ। ট্রেন ছেড়ে দিলে ওদের আনন্দ যেন আর ধরে না। সে কি উত্তেজনা সবার কিন্তু রাশি যেন একটু বেশি চুপচাপ। কি হয়েছে জানতে চাইলে বলবে না ওরা জানে তাই ওকে বিরক্ত করে না। রাশি জানালা দিয়ে দেখ্তে দেখ্তে চলে। আর ওরা চড়ুই পাখির মত কিচির মিচির করতে থাকে। কু ঝিকঝিক ট্রেন চলতে থাকে।ট্রেন অবশেষে যখন পৌঁছল তখন বেশ খানিকটা রাত হয়েছে। স্টেশনের বাইরে ওদের জন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ওরা মামার বাড়ির গাড়িতে মালপত্র উঠিয়ে বসল। রাত হয়ে যাওয়ার কারণে কিছুই বুঝতে পারলো না ওরা পথের সম্বন্ধে। মামার বাড়ি যেহেতু গ্রামে তাই খুব তাড়াতাড়ি চুপচাপ হয়ে যায়।তবুও শুক্লপক্ষের রাত বলে চারিদিকে রূপোলি জ্যোত্স্নায় ভেসে যাচ্ছে। ওদের খুব ভালো লাগছে, কারণ কলকাতায় এই ব্যাপারটা ওরা অনুভব করতেই পারে না। রাশির মন যেন উচাটন হয়ে যায়; ও বলে কি সুন্দর লাগছে দেখেছিস চল আমরা কিছুটা হেঁটে যাই ,কি উজান চিনতে পারবি না পথ।ওদের সবাই হৈ হৈ করে বলে উঠলো চল চল চল সবাই মিলে হেঁটেই যাবো। অগত্যা উজান রাজী হয়। সবাই গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে থাকে; যদিও রাস্তা অল্পই বাকি ছিল। তবুও ওরা বেশ উপভোগ করতে লাগল। সব থেকে বেশি যেন রাশি আনন্দিত হলো। সবাই রাশির এই স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত তাই ওরা অবাক হলো না।মামার বাড়ির সামনে এসে যেন রা। ওদের পৌঁছোনোর আওয়াজ পেয়ে মামা-মামি আর বোন দিশা বেরিয়ে এলো। দিশা তো হৈ হৈ করে উঠলো। কিন্তু মামা-মামি যেন রাশিকে দেখে একটু চমকে গেলো সেটা উজানের চোখে পড়ল। কিন্তু ও কাউকে কিছু বললো না। ওদের ভিতরে নিয়ে গেলো, তারপর পরিচয় পর্ব সারার পর মামি বললো ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে চলে আয় খেয়ে নিবি।সবাই মামির কথামতো ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হতে লাগল একে একে। রাশি, তিয়া আর রায়া একটা ঘরে আর উজান আর অত্রি একটা ঘরে থাকবে এরকম ব্যবস্থা হলো। রায়া তো খুব এক্সাইটেড; তিয়াও তাই। শুধু রাশি যেন একটু বেশিই চুপচাপ হয়ে গেছে বাড়িতে ঢোকার পর। সবাই সেটা বুঝেছে কিন্তু কেউ কিছু বলেনি। আসলে রাশি তো ঐরকম তাই। তিয়া আর রায়া দুজনে যখন এতো বড়ো রাজবাড়ির অতিথি হয়ে থাকার কথা নিয়ে আলোচনা করছে তখন হটাত রাশি বলে উঠলো আপন মনে আমি সব চিনি, আমার মনে হচ্ছে এসেছি এখানে, কিন্তু কবে? তিয়া আর রায়া অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে।ক্রমশ....লেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রূপু আমাকে ক্ষমা করিসআরও পড়ুনঃ নতুন প্রভাত

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal